সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হেফাজত আর জঙ্গীদের দখলে

0

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম দখল করে নিয়েছে খেলাফতপন্থী হেফাজতে ইসলাম আর জঙ্গী সংগঠন আনসার আল ইসলাম, হিজবুত তাহরির, জামাতে ইসলামীসহ জঙ্গী সংগঠনগুলোর হাজার-হাজার কর্মী। সাথে যোগ দিয়েছে বিএনপি’র কর্মী-সমর্থকরা। মাদ্রাসা ছাত্র-শিক্ষকদের সমন্বয়ে গড়ে ওঠা ‘সাইবার জিহাদ ইউনিট’ এবং হেফাজতে ইসলামের আইটি ইউনিটও ব্যাপক তৎপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোয়। এসব নিয়ে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর কোনই তৎপরতা নেই। সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড এবং জঙ্গী বিরোধী যেকোনো পোষ্টে হেফাজতি আর জঙ্গীরা আগ্রাসী ও আক্রমনাত্মক কমেন্ট নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ছে। প্রভাবশালী পত্রিকা ব্লিটজ-এর ফেইসবুক পেইজে প্রতিদিনই হাজার-হাজার কমেন্ট করছে হেফাজতি আর জঙ্গীরা। এই পত্রিকার সাংবাদিকদের হত্যার হুমকিও দেয়া হচ্ছে প্রকাশ্যে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ঘেটে দেখা গেলো, এখন সেখানে সরকার-বিরোধী অপশক্তির ব্যাপক তান্ডব। যে-যার মতো করে সরকারের বিরুদ্ধে ক্রমাগত অপপ্রচার চালাচ্ছে। গালমন্দ করছে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের। দেশের প্রচলিত আইনে এসব শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে পরিগনিত হওয়ার কথা থাকলেও অজানা কারণে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসব তথ্য সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছেনা রহস্যজনক কারণে।

বিএনপি, জামাত, হেফাজতসহ জঙ্গী সংগঠনগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বেছে নিয়েছে সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানোর মোক্ষম হাতিয়ার হিসেবে। আর এসবের ফলে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হচ্ছে ক্রমাগত।

হেফাজতের আইটি ইউনিট এবং জঙ্গীদের সাইবার জিহাদ ইউনিট

মাদ্রাসাগুলোর হাজার-হাজার ছাত্র-শিক্ষকের সমন্বয়ে গড়ে উঠেছে হেফাজতে ইসলামের আইটি ইউনিট এবং জঙ্গী গ্রুপগুলোর জিহাদ ইউনিট। এরা টার্গেট করে অসাম্প্রদায়িক ব্যক্তি কিংবা পত্র-পত্রিকার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেয়া পোষ্টগুলোয় ঝাঁপিয়ে পড়ে কমেন্ট সন্ত্রাস চালাচ্ছে। পাশাপাশি এরা সরকারপন্থী এবং বিএনপি, জামাত, হেফাজত ও জঙ্গী বিরোধী বিভিন্ন আইডি নষ্ট করার অপউদ্দেশ্যে সুপরিকল্পিতভাবে রিপোর্ট করছে। এদের অপচেষ্টার কারণে ফেইসবুকসহ কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ক্রমাগত বিভ্রান্তও হচ্ছে। অথচ এক্ষেত্রে সরকারের পক্ষ থেকেই সংশ্লিষ্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোকে অবগত করে দিলে ওরা জঙ্গী-জিহাদিদের অপচেষ্টায় বিভ্রান্ত হওয়া থেকে বিরত থাকবে। এখানে উল্লেখ্য, বর্তমান প্রেক্ষাপটে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর গুরুত্ব অপরিসীম। এসব প্ল্যাটফর্ম যেমনিভাবে ইতিবাচক ভুমিকা রাখতে পারে ঠিক একইভাবে এগুলো অপশক্তির দখলে চলে গেলে ক্ষতির কারণও হতে পারে।

নিষ্ক্রিয় বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসগুলোর প্রেস শাখা

বিশ্বের যেসব দেশে বাংলাদেশের দূতাবাস আছে, সেখানে একটা করে প্রেস শাখাও আছে। কিন্তু দুঃখজনকভাবে এসব প্রেস শাখা একেবারেই নিষ্ক্রিয়। সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে এদের অনেকের যোগাযোগই নেই। একারণেই ওয়াশিংটন, লন্ডন, দিল্লী, বেইজিং, রিয়াদের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বাংলাদেশ সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের কোনও খবরই প্রকাশিত হচ্ছেনা স্থানীয় পত্রিকাগুলোয়। অথচ ওইসব দেশে ভারত, চীন এমনকি পাকিস্তান দূতাবাসের প্রেস শাখাগুলো ভীষণ সক্রিয়। বছরের-পর-বছর ধরে বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রেস শাখাগুলোর চরম নিষ্ক্রিয়তার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোরও কোনও তৎপরতা নেই। অথচ বর্তমান সময়ে বিশ্বের সব দেশ যেখানে বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেল এবং তেজিয়ান অর্থনীতির দেশ হিসেবে দেখছে, যেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হচ্ছে, সেখানে বিদেশের পত্রপত্রিকা এবং গণমাধ্যমে বাংলাদেশ সম্পর্কে ব্যাপক প্রচার পাওয়ার কথা। তাছাড়া ২০২৩ সালের সাধারণ নির্বাচনকে সামনে রেখেও এখন থেকেই বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে ব্যাপক প্রচার হওয়ার কথা।

Please follow Blitz on Google News Channel

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here