বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষ প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ক্রাউন এন্টারটেইনমেন্ট এবং বিপনন সংস্থা ক্রাউন ক্রিয়েশনস মিলে এবারের ঈদে দেশের বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেল এবং অনলাইন প্ল্যাটফর্মে কয়েক ডজন নাটক প্রচারের ব্যবস্থা চূড়ান্ত করেছে। এরই মাঝে ক্রাউন এর পক্ষ থেকে নাটকগুলোর তালিকা গণমাধ্যমে পাঠানো হয়েছে।
এবারের ক্রাউন ঈদ আয়োজনের নাটকগুলোয় আছেন জাহিদ হাসান, শহিদুজ্জামান সেলিম, অপূর্ব, তাহসান খান, তানজিন তিশা, মিশু সাব্বির, মারজুক রাসেল, তোসিফ মাহবুব, শামীম হাসান সরকার, ফারুক আহমেদ, মুকিত জাকারিয়া, নীলাঞ্জনা নীলা, জোভান, সাবিলা নুর, তাসনুভা তিশা, ইরফান সাজ্জাদ, নাদিয়া নদী, কেয়া পায়েল, সারিকা সাবা, সালমান মুক্তাদির, জান্নাত আখতার, সামিয়া অথৈ, স্নিগ্ধা, অনিক, নিলয় আলমগীর, ফারিয়া, মনিরা মিঠু, পারসা ইভানা, তানভীর সিয়াম নাসির, নুসরাত জাহান রুহী, স্মিতা, তালহা খান, হুমায়রা সুবাহ, শাওন, সারিকা সাবাহ, নোলক, তামান্না, চাষী আলম, শারমিন আঁখি, মৌরি সেলিম প্রমুখ।
নির্মাতাদের মধ্যে আছেন শিহাব শাহীন, মাবরুর রশিদ বান্নাহ, মোস্তফা কামাল রাজ, সাগর জাহান, মাইদুল রাকিব, ইমরাউল রাফাত, জিয়াউল হক পলাশ, নাজমুল রনি, শেখ নাজমুল হুদা ইমন, মুরসালিন শুভ, সেতু আরিফ, শাহ মোহাম্মদ রাকিব, রাইসুল তমাল, প্রতীক আহমেদ, শাব্দিক শাহিন, জিয়াউদ্দিন আলম, কামরুল হাসান ফুয়াদ, জয় সরকার, মাসুদ খান, রনি খান, সাব্বির হোসেন প্রমুখ।
এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ক্রাউন অফিসে রাতদিন কাজ চলছে। এ প্রসঙ্গে ক্রাউন ক্রিয়েশনস এর প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা সৈয়দ ইকবাল বলেন, লক ডাউনের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ করতে হচ্ছে। গত প্রায় দু সপ্তাহ যাবত ক্রাউনের এডিটিং প্যানেলগুলো এবং ডাবিং ষ্টুডিওগুলো প্রচণ্ড ব্যস্ত। কারোরই দম ফেলার সময় নেই। এমন ব্যস্ততা থাকবে ঈদের তৃতীয় দিন অব্দি। তারপর কিছুটা অবসর পাবো।
তিনি বলেন, এবারের ঈদে আমাদের প্রতিষ্ঠানের আয়োজনে যদিও কয়েক ডজন নাটক একাধিক চ্যানেল এবং ডিজিট্যাল প্লাটফর্মে প্রচার হবে, লক ডাউন আর কোভিড পরিস্থিতি না থাকলে সংখ্যাটা আরো বাড়তো। আমরা চেষ্টা করবো আগামী উৎসব এবং বিশেষ দিনগুলোতেও দর্শকদের সেরা বিনোদনের ডালি উপহার দেয়ার।
ক্রাউন এর তাজুল ইসলাম এবং সৈয়দ ইকবাল বলেন, এবারের ঈদ আয়োজনে যেসব প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান এবং স্পন্সর ক্রাউন এর পাশে ছিলেন তাঁদের সবার প্রতি আমাদের আন্তরিক কৃতজ্ঞতা। আশা করি এই সহযোগিতার পালা আগামী দিনগুলোতেও অব্যাহত থাকবে।
গত বছরের দুই ঈদে ক্রাউন এর নাটকগুলো যারা নির্মাণ করেছিলেন তাদের কেউই এবারের ঈদে ক্রাউন আয়োজনে নেই কেনো, এই প্রশ্নের উত্তরে ক্রাউন এন্টারটেইনমেন্ট এর ডেপুটি সিইও তাজুল ইসলাম মুচকি হেসে বললেন “নো কমেন্ট”।
উল্লেখ্য, ক্রাউন এর প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে এই প্রতিষ্ঠানের ব্যানারে যেসব নির্মাতা নাটক নির্মাণ করেছেন তাঁদের কাউকেই এবারের ক্রাউন আয়োজনে দেখা যায়নি। অথচ গত ঈদে ক্রাউন এর সাথে কাজ করার কারণেই ওই নির্মাতাদের নির্মিত নাটকের সরব উপস্থিতি ছিলো টিভি চ্যানেলগুলোয়।
এবারের ঈদে আরেক শীর্ষ প্রতিষ্ঠান টেলিহোমও অনেকগুলো নাটক উপহার দিচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার আলী বশির বৃহস্পতিবার বিকেলে ক্রাউন অফিসে এসেছিলেন ঈদের আগাম শুভেচ্ছা জানাতে। এরই মাঝে ক্রাউন আর টেলি হোম-এর মাঝে সম্পর্কের এক দৃঢ় বন্ধন গড়ে উঠেছে। এক প্রতিষ্ঠান অন্য প্রতিষ্ঠানের শুভাকাঙ্ক্ষী। এমনটা আজকাল মিডিয়ায় খুবই বিরল।