নরেন্দ্র মোদীর সফরের আগে এবং পরে হেফাজতে ইসলাম এবং পাকিস্তান ও বিএনপি-জামায়াতের দালালরা বিভিন্ন সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে ক্রমাগত ভিডিও পোস্ট করে এবং স্ট্যাটাস দিয়ে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়েছে। এখনও বিএনপি, জামায়াত এবং হেফাজত ও জঙ্গী গ্রুপগুলোর কর্মীরা সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে ক্রমাগত অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে – আওয়ামীলীগ সমর্থক ব্যক্তি ও মিডিয়াকে আক্রমণের চেষ্টা করছে। কিন্তু ওরা জানেনা, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিকরা সার্বক্ষণিক এসব অপতৎপরতার দিকে নজর রাখছেন এবং নিজ উদ্যোগে এরই মাঝে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় হেফাজতের প্রোপাগান্ডা দলের সদস্যদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছেন। এরই মাঝে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিকদের দায়ের করা মামলায় হেফাজত এবং বিএনপি-জামায়াতের বেশকিছু সদস্য গ্রেফতারও হয়েছে। মামলা দায়েরের এই প্রক্রিয়া চলতে থাকবে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিকরা সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে নজরদারী করে আওয়ামীলীগ এবং বাংলাদেশ বিরোধী অপশক্তির সদস্যদের চিহ্নিত করছেন।
উগ্র সাম্প্রদায়িক সংগঠন হেফাজতে ইসলাম, পাকিস্তানী গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই এবং বিএনপি-জামায়াত ও জঙ্গী গ্রুপগুলোর যোগসাজশে বাংলাদেশে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সফরকে কেন্দ্র করে চরম অস্থিতশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির মাধ্যমে আওয়ামীলীগ সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার ভয়ংকর ষড়যন্ত্রে মেতে ওঠে। এদের এই অপতৎপরতায় কোটিকোটি টাকা খাটায় পাকিস্তানী আইএসআই-সহ বিএনপি-জামায়াত চক্র। কিন্তু ওরা জানেনা, এদেশের মাটিতে এধরনের কোনো অপচেষ্টা কখনোই সফল হতে দেবেনা স্বাধীনতার স্বপক্ষ শক্তি এবং মৌলবাদ বিরোধী ধর্মনিরপেক্ষ জনতা।
নরেন্দ্র মোদীর সফরের আগে এবং পরে হেফাজতে ইসলাম এবং পাকিস্তান ও বিএনপি-জামায়াতের দালালরা বিভিন্ন সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে ক্রমাগত ভিডিও পোস্ট করে এবং স্ট্যাটাস দিয়ে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়েছে। এখনও বিএনপি, জামায়াত এবং হেফাজত ও জঙ্গী গ্রুপগুলোর কর্মীরা সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে ক্রমাগত অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে – আওয়ামীলীগ সমর্থক ব্যক্তি ও মিডিয়াকে আক্রমণের চেষ্টা করছে। কিন্তু ওরা জানেনা, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিকরা সার্বক্ষণিক এসব অপতৎপরতার দিকে নজর রাখছেন এবং নিজ উদ্যোগে এরই মাঝে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় হেফাজতের প্রোপাগান্ডা দলের সদস্যদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছেন। এরই মাঝে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিকদের দায়ের করা মামলায় হেফাজত এবং বিএনপি-জামায়াতের বেশকিছু সদস্য গ্রেফতারও হয়েছে। মামলা দায়েরের এই প্রক্রিয়া চলতে থাকবে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিকরা সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে নজরদারী করে আওয়ামীলীগ এবং বাংলাদেশ বিরোধী অপশক্তির সদস্যদের চিহ্নিত করছেন।
এবিষয়ে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের একজন সিনিয়র আইনজীবী বলেন, আওয়ামীলীগ একটা বিশাল সংগঠন। সারাদেশে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিকের সংখ্যা কোটিকোটি। ক্ষমতাসীন দলের প্রতি যেকোনো অপশক্তির চ্যালেঞ্জ কিংবা অপচেষ্টার দাঁতভাঙ্গা জবাব বঙ্গবন্ধুর সৈনিকরা দিচ্ছেন এবং দেবেন।
জানা গেছে, গত ২৯শে মার্চ ২০২১, ঢাকার উত্তরা এলাকার বাসিন্দা এবং আওয়ামীলীগ বিরোধী সাইবার অপরাধী জনৈক শাহানা রশিদ সানু (স্বামী মৃত আব্দুর রশিদ) তার ফেইসবুক আইডিতে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরের বিরুদ্ধে একটা স্ট্যাটাস দেয়। সানু তার ওই স্ট্যাটাসে মিজানুর রহমান আযহারী’র একটি ভিডিও পোস্ট দিয়ে মোদীর বিরুদ্ধে দেশব্যাপী আন্দোলন ছড়িয়ে দেয়ার ডাক দেয়। ওই স্ট্যাটাসে অনেকেই কমেন্ট করে সারাদেশে জিহাদ শুরুর আহ্বান জানায়। এধরনের স্ট্যাটাস দেশের প্রচলিত ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। সানুর এই ভয়ংকর অপতৎপরতার প্রামাণ্য রিপোর্ট প্রকাশ করে অত্যন্ত প্রভাবশালী ইংরেজী পত্রিকা ব্লিটজ।
ব্লিটজ-এর অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে আরো জানা যায়, শাহানা রশিদ সানুর ছোটছেলে শ্যামল মাহমুদ (অঞ্জন) বিএনপির ছাত্রদলের ক্যাডার। সে ২০১৩ সালে ঢাকা শহরে বিএনপি-জামায়াতের আগুন সন্ত্রাস ও ধ্বংসযজ্ঞে সক্রিয় অংশগ্রহণ করে। পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে ঢাকা শহরের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা হলে অঞ্জন গোপনে আমেরিকায় পালিয়ে যায় এবং পরবর্তীতে বিনা ভিসায় কানাডায় প্রবেশ করে সেখানে রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করে। ওই আবেদনের সে আওয়ামীলীগ সম্পর্কে ভয়ংকর মিথ্যাচার করে।
অঞ্জনের নৈতিক চরিত্র সম্পর্কেও ঢাকার একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যায়, সে বিভিন্ন সময়ে অনেক মেয়েকে মিথ্যে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ওদের ব্ল্যাকমেইলিং করেছে।
অঞ্জনের বড়ভাই সজল মাহমুদ অনির বিরুদ্ধে ঢাকার থানাগুলোয় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে একাধিক মামলা আছে। তাছাড়া ২০১২ সালে সে সঞ্জীব সাহা নামের একজন ভারতীয় নাগরিককে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে হত্যার চেষ্টা চালালে পুলিশ সঞ্জীব সাহাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে।
জানা গেছে, সারাদেশে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিকরা এরই মাঝে শাহানা রশিদ সানুর ফেইসবুক স্ট্যাটাসের ব্যাপারে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এবিষয়ে ফরিদপুর জেলার এক আওয়ামীলীগ কর্মী বলেন, শাহানা রশিদ সানুর অপরাধ ক্ষমার অযোগ্য। তার বিরুদ্ধে আমি মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, সারাদেশে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিকরাও মামলা করবেন।
এদিকে আরো জানা গেছে, আওয়ামীলীগ বিরোধী শাহানা রশিদ সানুর ছেলে এবং বিএনপির ছাত্রদলের ক্যাডার শ্যামল মাহমুদ (অঞ্জন) এর সাথে উত্তরা এলাকার স্বেচ্ছাসেবকলীগ এবং আওয়ামীলীগের অঙ্গ সংগঠনগুলোর কিছু নেতা-কর্মী ঘনিষ্ট যোগাযোগ রাখে এবং এই অপরাধী পরিবারের নানা ধরনের অবৈধ কার্যকলাপে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে। এবিষয়ে আওয়ামীলীগ হাইকমান্ডের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন অনেকেই।
সোহেল চৌধুরী প্রভাবশালী ইংরেজী পত্রিকা ব্লিটজ-এর নির্বাহী সম্পাদক