সিলেটের মাটিতে শুয়ে আছেন নবাব সিরাজ-উদ-দৌলার সন্তান

0

লর্ড ক্লাইভ মীর জাফর মোহনলালকে বন্দী করতে চারদিকে গুপ্তচর পাঠালেন। যথাসময়ে মোহনলাল খবরটি পেয়ে যান। তিনি দেরি না করে বোকাইনগর দুর্গ ছেড়ে আবার পথে নামেন। সহচর বাসুদেবের কাকা বিনোদ রায় থাকতেন আমহাটি গ্রামে। মোহনলাল নবাব সিরাজ-উদ-দৌলার পুত্র যুগলকিশোর-কে নিয়ে কিছুদিন থাকলেন বিনোদ রায়ের বাড়িতে। এরপর তিনি ময়মনসিংহের জমিদার শ্রীকৃষ্ণ চৌধুরীকে অনুরোধ করেন সিরাজের ছেলেকে দত্তক নেয়ার বিষয়ে। জমিদার শ্রীকৃষ্ণ রাজি হন সিরাজপুত্রকে দত্তক নিতে। লিখেছেন ব্লিটজ-এ বিশেষ প্রদায়ক জালাল উদ্দিন লস্কর। লেখাটি ব্লিটজ-এর জন্যে সম্পাদনা করেছেন রহমান মুস্তাফিজ, চীফ এডিটর, আর্ট নিউজ

সিলেটের মাটিতে শেষ শয্যা পেতেছেন নবাব সিরাজ-উদ-দৌলার উত্তরাধিকার যুগলকিশোর। হিন্দু জমিদার পরিবারে তাদের পরিচয়ে বেড়ে ওঠা যুগলকিশোর শেষ বয়সে জেনেছিলেন নিজের আসল পরিচয়। তাই তার শেষ ইচ্ছায় মৃত্যুর পর তাকে কবর দেয়া হয়। তবে এতো বছর পর কবরটি রয়েছে অনাদর, অবহেলায়। নেই কোন ফলকও। ফলে কেউ জানতেই পারছেন না, সিলেটের মাটিতে চিরনিদ্রায় শায়িত নবাব সিরজ-উদ-দৌলার ছেলে।

অধিকাংশ মানুষের ধারণা, পলাশীর প্রান্তরে সিরাজ-উদ-দৌলার পরাজয়ের মধ্যদিয়ে শেষ হয়ে গিয়েছিল তার বংশের ধারা। বাস্তবতা তা নয়। তার ছেলে জীবিত ছিলেন। যাকে পলাশীর যুদ্ধের আগেই মুর্শিদাবাদ থেকে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছিল ময়মনসিংহে।

একটু পিছন ফিরে দেখা যাক। সিরাজ-উদ-দৌলার বিশ্বস্ত ও অনুগত সেনাপতি ছিলেন মোহনলাল। তিনি ছিলেন কাশ্মিরী ব্রাহ্মণ। ভাগ্যান্বেষণে কাশ্মির থেকে এসেছিলেন বাংলায়। যোগ দেন নবাবের সেনাবাহিনীতে। দক্ষতা আর আনুগত্যার পরিচয় দিয়ে সেনাপতি হন। জাতিতে ব্রাহ্মণ হলেও তিনি ছিলেন অসাম্প্রদায়িক। তরুণ সিরাজের সাথে মোহনলালের গড়ে ওঠে দারুণ সখ্যতা।

নিখিলনাথ রায় তার ‘মুর্শিদাবাদ কাহিনী’ নামের বইয়ে লিখেন, মোহনলালের বোনের নাম ছিল মাধবী। তার আরেক নাম হীরা। ভাইয়ের সাথে নবাবের সখ্যতার জের ধরে মাধবী আর সিরাজের মধ্যে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। এক পর্যায়ে মাধবী গর্ভবতী হয়ে পরেন। সিরাজের ঔরসজাত ছেলে সন্তানের জন্ম দেন মাধবী।

বৃদ্ধ মাতামহ আলীবর্দী খানের ভয়ে সিরাজ গোপন রাখেনতার বাবা হওয়ার খবরটি। লুকিয়ে রাখেন তাদের। এ বিষয়টি তার মনের ওপর চাপ সৃষ্টি করে। এই চাপ থেকে মুক্তি পেতে সিরাজ অস্বাভাবিক পথ বেছে নেন। একদিন তিনি শিশু সন্তানকে ঘোড়ার পিঠে বাঁধেন। তারপর ঘাড়াকে উদ্দেশ্য করে তীর ছোড়েন। ভাবেন, কেউ যদি ঘোড়া থেকে ছেলেকে মুক্ত করে প্রতিপালন করেন তবে ছেলেটি বেঁচে যাবে।

খবর পেয়ে মাধবী ছুটে যান ভাই মোহনলালের কাছে। তাকে ঘটনা জানান। মোহনলাল সব শুনে রেগে যান। ভাবেন পরিবারের সবাইকে নিয়ে মুর্শিদাবাদ ত্যাগ করবেন। তবে তার আগে তিনি আরেকটি ঘোড়া নিয়ে ছুটে যান ভাগিনাকে উদ্ধার করতে। ভাগিনাকে নিয়ে ফিরে আসেন নিজের বাড়িতে। এরপর প্রস্তুতি নেন মুর্শিদাবাদ ছেড়ে যাওয়ার।

নবাব সিরাজ-উদ-দৌলার এবং তাঁর স্ত্রী মাধবী ওরফে আলিয়া। জমিদার যুগলকিশোর রায় চৌধুরী হলেন বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব নবাব সিরাজ-উদ-দৌলার ছেলে

মোহনলালের সিদ্ধানের কথা জানতে পারেন আলীবর্দী খান। মোহনলাল চলে গেলে সিরাজ বিশ্বস্ত বন্ধু হারাবেন ভেবে শঙ্কিত ও উদ্বিগ্ন হন তিনি। খোঁজ নেন মোহনলাল কেন এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ইমামের সাথে আলোচনা করে সমস্যা সমাধানে পথ খুঁজে বের করেন তিনি। মাধবী ওরফে হীরা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলেই এ সমস্যার সহজ সমাধান হতে পারে।

মাধবী ইসলাম ধর্মে দীক্ষা নেন। তার নতুন নাম হয় আলিয়া। এরপর সিরাজের সাথে আলিয়ার বিয়ে হয় ইসলাম ধর্মমতে। আলীবর্দী খানের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সিরাজের ছেলের দায়িত্ব নেন মোহনলাল।

পলাশীর যুদ্ধে সিরাজের পরাজয় হলো। মোহনলাল ভাবলেন, সিরাজের পরিবারের কাউকেই বাঁচতে দিবে না ইংরেজরা। ছয় বছর বয়েসি ভাগিনার জীবন বাঁচাতে গোপনে মুর্শিদাবাদ ছাড়েন মোহনলাল। সাথে ছিলেন বিশ্বস্ত সহচর বাসুদেব ও হরনন্দ। পদ্মা নদী পেরিয়ে তারা আসেন ময়মনসিংহের বোকাইনগর দুর্গে। এই বোকাইনগর গ্রামটি এখন নেই। নাম পরিবর্তন হয়ে গেছে। তবে তা এখনও রয়ে গেছে ব্রিটিশ সার্ভেয়ার জেনারেল মেজর জেমস রেনেলের আঁকা বাংলাদেশের প্রাচীণ মানচিত্রে।

লর্ড ক্লাইভ মীর জাফর ও মোহনলালকে বন্দী করতে চারদিকে গুপ্তচর পাঠালেন। যথাসময়ে মোহনলাল এ খবরটি পেয়ে যান। তিনি দেরি না করে বোকাইনগর দুর্গ ছেড়ে আবার পথে নামেন।

সহচর বাসুদেবের কাকা বিনোদ রায় থাকতেন আমহাটি গ্রামে। মোহনলাল সিরাজ পুত্রকে নিয়ে কিছুদিন থাকলেন বিনোদ রায়ের বাড়িতে। এরপর তিনি ময়মনসিংহের জমিদার শ্রীকৃষ্ণ চৌধুরীকে অনুরোধ করেন সিরাজের ছেলেকে দত্তক নেয়ার বিষয়ে। জমিদার শ্রীকৃষ্ণ রাজি হন সিরাজপুত্রকে দত্তক নিতে।

নিজেদের নিরাপত্তার কথা ভেবে মোহনলাল তার ভাগিনা ও দুই সহচরকে নিয়ে আবার স্থান পরিবর্তন করেন। সন্যাসীর বেশ নিয়ে তারা চলে যান রংপুরে। সেখানে কিছুদিন থেকে আবার ময়মনসিংগে ফেরেন। জমিদারের সাথে দেখা করতে গিয়ে শোনেন শ্রীকৃষ্ণ দেহত্যাগ করেছেন।

প্রয়াত জমিদারের ছেলে কৃষ্ণকিশোরের সাথে দত্তক বিষয়ে শ্রীকৃষ্ণের সাথে হওয়ার কথা জানান। কৃষ্ণকিশোরের ছোটভাই কৃষ্ণগোপাল দুই বিয়ে করলেও তার কোন সন্তান ছিল না। তারা রাজি হয় সিরাজপুত্রকে দত্তক নিতে। নিরাপত্তার কারণে এই দুই ভাইয়ের কাছে সিরাজপুত্রের পরিচয় দিলেন না মোহনলাল। জানালেন, বাসুদেবের কাকা আমহাটির বিনোদ রায়ের দ্বিতীয় সন্তান এই ছেলে।

অনুষ্ঠান করে সিরাজপুত্রকে দত্তক নিলেন প্রয়াত জমিদার শ্রীকৃষ্ণ চৌধুরীর ছেলে। তার নাম রাখা হলো যুগলকিশোর রায় চৌধুরী। শুরু হলো বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজ-উদ-দৌলার ঔরসজাত সন্তানের হিন্দু পরিচয়ে বেড়ে ওঠার পালা।

১৭৬৪ সালের রথযাত্রায় হওয়া এক দুর্ঘটনায় মারা যান জমিদার কৃষ্ণকিশোর। এরপর উত্তরাধিকার সূত্রে জমিদারী লাভ করেন যুগলকিশোর।

কৃষ্ণকিশোরের দুই বিধবা স্ত্রী রত্নমালা ও নারায়নীর দেখাশোনাও করতেন যুগলকিশোর। তার দুই জেঠীমা আঁচ করতে পারেন যুগলকিশোর সম্ভ্রান্ত মুসলিম বংশের ছেলে। এছাড়া যুগলকিশোরের গায়ের রঙ ও শরীরের গঠন বাঙালিদের মত ছিল না। তাই দুই নারী নিশ্চিত হন যুগলকিশোর কোনভাবেই বিনোদ রায়ের সন্তান নন। এরমধ্যেই তাদের সাথে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ দেখা দেয় যুগলকিশোরের। পরে তিনি দুই বিধবার জন্য মাসিক বৃত্তির ব্যবস্থা করে বিরোধ নিষ্পত্তির চেষ্টা করেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা আদালত পর্যন্ত গড়ায়। বেশ কয়েক বছর এ মামলা চলে।

যুগলকিশোর রাজশাহীর পাকুড়িয়া গ্রামের শক্তি সাধক মোহন মিশ্রের কাছে কালীমন্ত্রে দীক্ষা নেন এবং শক্তি সাধনা করেন। এ সময় তিনি বোকাইনগর গ্রামে একটি কালীমন্দির ও ২টি শিবলিঙ্গ স্থাপন করেন। নেত্রকোণায় স্থাপন করেন কালিমূর্তি। আর নিজের জমিদারী জাফরশাহীতে প্রতিষ্ঠা করেন রাঁধামোহন বিগ্রহ।

যুগলকিশোর বিয়ে করেছিলেন ফরিদপুর জেলার ভট্টাচার্য বংশের রুদ্রাণী দেবীকে।তার গর্ভে হরকিশোর ও শিবকিশোর নামে দুই ছেলে এবং অন্নদা, বরদা, মোক্ষদা ও মুক্তিদা নামে চার মেয়ের জন্ম হয়। রুদ্রাণী দেবীর দুই ছেলে অল্প বয়সেই মারা যায়। যুগলকিশোর দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করেন পাবনার যমুনা দেবীকে। দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীর গর্ভে জন্ম নেয় ছেলে প্রাণকৃষ্ণনাথ।

ময়মনসিংহের গৌরীপুরে ও নিজ জমিদারীর বিভিন্ন এলাকায় তিনি অনেকগুলো জলাশয় তৈরি করেন প্রজাদের স্বার্থে। জাফরশাহীতে তিনি নিজ নামে প্রতিষ্ঠা করেন যুগলকুঞ্জ নামে একটি গ্রাম।

তেজস্বী ও বৈষয়িক জমিদার ছিলেন যুগলকিশোর। জাফরশাহী অঞ্চলে একবার মহামারীতে মারা গেলেন অসংখ্য মানুষ। পরিস্থিতি সামাল দিতে তিনি পরিবার ও প্রজাদের নিয়ে উঠলেন জঙ্গলাকীর্ণ গৌরীপুরে। দক্ষ শাসক যুগলকিশোরের চেষ্টায় আস্তে আস্তে বদলে গেল গৌরীপুর। বাড়তে থাকে জনবসতি।

আরেকবার ময়মনসিংহ অঞ্চলে দেখা দিল প্রবল বন্যা। শুরু হয় খাদ্য সংকট। এর ফলে ক্ষুধার্ত মানুষ শুরু করে লুটপাট। যুগলকিশোর কঠোরভাবে পরিস্থিতির সামাল দিলেন। এ সময়টা যুগলকিশোরের জন্য ছিল খুবই সংকটময়। একদিকে সন্যাসী বিদ্রোহ, আরেকদিকে বারবার প্রাকৃতিক দুর্যোগ। ফলে খাজনা আদায় হচ্ছিলো না ঠিক মত। তিনি আর্থিকভাবে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হলেন।

এ সময় সিন্ধ্য পরগণার জমিদার ছিলেন মুহাম্মদ খাঁ। জমিদার শ্রীকৃষ্ণ চৌধুরীর বংশধরদের তিনি কোনভাবেই সহ্য করতে পারতেন না। ময়মনসিংহে বন্যার পর তার প্রশ্রয়ে সিন্ধ্যর মানুষ যুগলকিশোরের এলাকায় লুটপাট চালাতে থাকেন। এই লুটপাট দমন করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন যুগলকিশোর। তিনি মুহাম্মদ খাঁ-কে অনুরোধ করেন লুটপাট বন্ধে ব্যবস্থা নিতে। মুহাম্মদ খাঁ ব্যবস্থা না নিয়ে উপহাস করেন যুগলকিশোরকে।

মুহাম্মদ খাঁর আচরণে ক্ষেপে গেলেন যুগলকিশোর। ১৭৭৯ সালে তিনি ৫ হাজার লাঠিয়াল সৈন্য নিয়ে সিন্ধ্য আক্রমণ করেন। তার বাহিনীতে লাঠি, বর্শা, সড়কি ও তরবারি চালানোয় দক্ষ সৈন্য ছিলেন। তারা সিন্ধ্যতে ব্যাপক লুটতরাজ চালিয়ে প্রজাদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেন।

যুগলকিশোরের কাছে পরাস্ত হয়ে মুহাম্মদ খাঁ ময়মনসিংহের কালেক্টর মিস্টার রটনের কাছে নালিশ জানান। কালেক্টর ঘটনা তদন্ত করে ঢাকায় রিপোর্ট পাঠান। মামলা হয় যুগলকিশোরের বিরুদ্ধে। বৈষয়িক বুদ্ধির জোরে যুগলকিশোর মামলা থেকে অব্যাহতি পান।

এদিকে, তার বিধবা দুই জেঠীর সাথে তখনও বিরোধ মেটেনি। পারিবারিক রাজনীতিতে তিনি বিপদের ইঙ্গিত পান। ততোদিনে চেহারা ও দৈহিক গঠনে তিনি নিজেও বুঝতে পারছিলেন তার পূর্বপুরুষ ভীনদেশি কোন অভিজাত মুসলিম ছিলেন। তাই গৃহবিবাদের কারণে ইংরেজ সরকার তার পরিচয় নিয়ে সমস্যা তৈরি করতে পারে ভেবে তিনি গৌরীপুরের জমিদারী ছেড়ে শ্রীহট্টে (সিলেট) চলে যান।

স্ত্রী যমুনা দেবী ও প্রাণকৃষ্ণনাথকে নিয়ে যুগলকিশোর সিলেটের কাজলশাহ নামক স্থানে বাস করতেন। এখানে যুগলকিশোর নতুন জমিদারীর পত্তন করেছিলেন।

সিলেটের দিনগুলো যুগলকিশোর নিঃসঙ্গ জীবন-যাপন করতেন। তার ছেলে প্রাণকৃষ্ণনাথ পরে জমিদারীর দায়িত্ব নেন। সিলেটের উন্নতির জন্যে অনেক কাজ করেছিলেন প্রাণকৃষ্ণনাথ। সিলেটের বিখ্যাত যুগলটিলা আখড়া তিনি তৈরি করেন।

অমলেন্দু দে তার ‘সিরাজের পুত্র ও বংশধরদের সন্ধানে’ গবেষণাধর্মী বইয়ে লিখেছেন, “কিছু সূত্র জানায়, কোনো না কোনো ভাবে যুগলকিশোর তার বংশ পরিচয় সম্পর্কে জানতে পেরেছিলেন। মারা যাওয়ার আগে প্রাণকৃষ্ণনাথকে তা বলেও গিয়েছিলেন। ইংরেজ শাসনামলে এই তথ্য গোপন রাখার উপরও তিনি জোর দেন। তিনি এই পরামর্শও দিয়েছিলেন যে বংশধরদের সবাই যেনো সিলেটে না থেকে একটি অংশ পদবী পরিবর্তন করে আসামের শিলং-এ চলে যায়।”

যুগলকিশোরের জীবনের শেষ দিনগুলো সিলেটের কাজলশাহ-তেই কাটে। ১৮১১ বা ১৮১২ সালের কোনো এক সময়ে যুগলকিশোরের মৃত্যু হয়। তার শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী পারিবারিক জমিদারীতেই তাকে গোপনে সমাহিত করা হয়।

মুর্শিদাবাদ কাহিনী-তে নিখিল নাথ লিখেছেন, “বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজ-উদ-দৌলার ছেলে যুগলকিশোরের জীবন যেন কল্পকাহিনীকেও হার মানায়। বড় নাটকীয় তার বেড়ে ওঠা। ঘটনাবহুল জীবনকাল। ইতিহাসের মূলধারা থেকে হারিয়ে যাওয়া এবং মানুষের কৌতুহলের কেন্দ্রবিচ্যুত হলেন যুগলকিশোর। অথচ তিনিই হয়তো হতেন বাংলা বিহার ও উড়িষ্যার পরবর্তী নবাব।”

বংশ লতিকা

নবাব সিরাজদৌলা

।।

যুগল কিশোর রায় চৌধুরী

।।

প্রাণকৃষ্ণনাথ রায় চৌধুরী

।।

শৌরীন্দ্র কিশোর রায় চৌধুরী ওরফে প্রসন্ন চন্দ্র রায়চৌধুরী ওরফে প্রসন্ন কুমার দে

।।

উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী

(সত্যজিৎ রায়ের ঠাকুরদা ও সুকুমার রায়ের বাবা সাহিত্যিক উপেন্দ্রকিশোর রায় চৌধুরী ভিন্ন মানুষ।)

Please follow Blitz on Google News Channel

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here