মুখ থুবড়ে পড়েছে বিএনপি’র উল্লাস

0

বিএনপি’র চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া’র বিদেশে চিকিৎসা যাওয়ার অনুমতি মিলছে এবং তিনি ঈদের আগেই লন্ডন যাচ্ছেন এমন খবর চাউর হওয়ার পর ঢাকা এবং লন্ডনে বিএনপির নেতা-কর্মীদের মাঝে ঈদের আগেই ঈদের ফুর্তি শুরু হয়ে যায়। লন্ডনে ঈদের দিন খালেদা জিয়া এবং তাঁর সাজাপ্রাপ্ত ফেরারী ছেলে তারেক রহমানের উপস্থিতিতে ঈদ সম্বর্ধনার আয়জনে ব্যস্ত হয়ে পড়েন ব্রিটেনে ওই দলের সবাই। আর তারেক রহমান তাঁর ঘনিষ্টজনদের বলতে থাকেন, খালেদা জিয়া বাংলাদেশ ছেড়ে গেলেই শুরু হবে “ফাইনাল খেলা”। এদিকে তারেক রহমানের সাথে আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানসহ ব্রিটেন ও আমেরিকায় বসবাসরত বিএনপি-জামাত ঘরানার লোকজনেরা যোগাযোগ বাড়িয়ে দেন। এখানে উল্লেখ্য, জামাতে ইসলামীর অনুরোধে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেজেপ তাইয়িপ এরদোয়ান জামাত-ঘরানার বিএনপি নেতা মাহমুদুর রহমানকে লন্ডন থেকে ‘আমার দেশ’ প্রকাশের লক্ষ্যে বড় অংকের অর্থ দিয়েছেন। একইভাবে ওই পত্রিকার জন্যে ফান্ড দিয়েছে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই।

খালেদা জিয়া বাংলাদেশ ছেড়ে গেলেই ইউটিউব সরকার-বিরোধী ইউটিউব চ্যানেলগুলোয় অপপ্রচারের মাত্রা বেড়ে যেতো বহুগুনে। পাশাপাশি জুন মাসেই খালেদা জিয়া লন্ডনের একটি পাঁচ তারা হোটেলে সাংবাদিক সম্মেলন করে বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে তাঁর দলের তৈরী একটি ঢাউস প্রচারগ্রন্থ বিতরন করতেন। ওই সাংবাদিক সম্মেলনে ব্রিটেনের স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় দেশসহ বিশ্বের অনেক দেশ থেকেই সাংবাদিকদের আনা হতো। এই দায়িত্ব দেয়া হয়েছিলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি জনসংযোগ কোম্পানীকে। আসলে ওই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমেই খালেদা জিয়া একটি “মধ্যবর্তী নির্বাচনের” দাবীতে ক্যাম্পেন শুরু করতেন। তাঁদের টার্গেট ছিলো, খালেদা জিয়া বাংলাদেশ ছেড়ে যেতে পারলে বিশ্বব্যাপী ব্যাপক ক্যাম্পেন চালিয়ে আওয়ামীলীগ সরকারকে চাপে ফেলা। একাজে বিএনপি’র অন্যতম সহযোগীর ভুমিকা পালন করতেন ডঃ মুহাম্মদ ইউনুস-সহ ঢাকার একটি আলোচিত ইংরেজী দৈনিকের সম্পাদক।

খালেদা জিয়া লন্ডনে পা রাখার সাথে-সাথেই তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপির সরকার-বিরোধী কাজকারবার ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পেতো।

বিএনপি চেয়ারপার্সন বিদেশে চিকিৎসার জন্যে যাবেন এমন বিষয় প্রায় নিশ্চিত হওয়ার পর ঢাকা তারেক রহমানের ঘনিষ্টজন কারাবন্দী গিয়াস উদ্দিন মামুন এবং মিয়া নুরুদ্দিন অপু ব্যস্ত হয়ে পড়েন তাদের পরবর্তী কর্মযজ্ঞ বাস্তবায়নে ফান্ড কালেকশনে। কারাগারে বসেই তারা দেশ-বিদেশের বহু লোকের সাথে যোগাযোগ করতে থাকেন। পাশাপাশি গিয়াস উদ্দিন মামুন ভারতে পালিয়ে থাকা জেএমবি নেতা সালাউদ্দিন সালেহীনের সাথে যোগাযোগ করে ঈদের পর থেকেই বাংলাদেশের জঙ্গী নাশকতা চালানোর ষড়যন্ত্র আঁটতে থাকেন। উল্লেখ্য মার্চ মাসে বাংলাদেশের খেলাফতপন্থী হেফাজতে ইসলামের ব্যাপক ধংসযজ্ঞের পেছনে তারেক রহমানের নির্দেশে মামুন-অপু গং টাকা খাটিয়েছেন।

শেষতক খালেদা জিয়া’র আপাতত আর বিদেশ যাওয়া হচ্ছেনা। কারণ, দন্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি প্রদানের বিধান নেই। তাছাড়া খালেদা জিয়া এরই মাঝে কোভিড মুক্ত। তিনি অক্সিজেন ছাড়াই চলতে পারছেন। আর বাংলাদেশেই তাঁকে উন্নত চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। খালেদা জিয়ার বিদেশ যাওয়া বাতিল হয়ে যাওয়ার খবরে ভীষণ ভেঙ্গে পরেছেন তারেক রহমান। কারণ, খালেদা জিয়া বাংলাদেশ ছেড়ে গেলেই তিনি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যেসব অপকর্ম শুরু করতেন সেসব ষড়যন্ত্র এখন ভেস্তে গেলো।

Please follow Blitz on Google News Channel

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here